ডেস্ক রিপোর্ট:
এক সপ্তাহের বেশি ইউক্রেনে বন্দরে আটকে থাকা, রকেট হামলায় এক সহকর্মীর মৃত্যুসহ নানা অভিজ্ঞতার পর দেশে ফিরল বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের ২৮ নাবিক। দেশে ফেরার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তারা।
এছাড়া, নিহত প্রকৌশলী হাদিসুরের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন নাবিকেরা।
বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুরের মরদেহ না আসলেও তার সহকর্মী ২৮ নাবিকের ফিরে আসার সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন তার মা এবং পরিজনরা। তার মায়ের আশা হাদিসুরের মরদেহও ফিরবে।
রোমানিয়া থেকে টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ বিমানে বুধবার দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নামেন ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকেপড়া ২৮ নাবিক।
বাংলার সমৃদ্ধির ক্যাপ্টেন জি এম নূরে আলম বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে সবাই সুস্থভাবে দেশে ফিরতে পেরেছি। অনেক দেশের জাহাজের নাবিকরা এখনও উদ্ধার হয়নি। তবে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কূটনৈতিকরা সুস্থভাবে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনায় কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। এছাড়া, সরকারের কাছে হাদিসুরের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব ইউরোপ ডেস্কের মহাপরিচালক সিকদার মো. হাদিউজ্জামান জানান, হাদিসুরের মরদেহ দ্রুত দেশে আনার চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, ‘এই নাবিকদের আমরা বুকে নিতে পেরেছি, এটা আমাদের অনেক আনন্দের বিষয়। এছাড়া, আমরা হাদিসুরের মরদেহ খুব দ্রুতই দেশে ফিরিয়ে আনতে পারব বলে দৃঢ় বিশ্বাস রাখি।’
বিমানবন্দর থেকে তাদের নেয়া হয় উত্তরার একটি হোটেলে। এসময় ডিবিসি নিউজকে তাদের দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা জানান নাবিকেরা। তারা জানান, যুদ্ধাবস্থায় থাকা এলাকাতে সবসময়ই ভয় কাজ করে। প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের সাধারণ মানুষ যেভাবে আমাদের পাশে ছিলেন তার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। এখন খুব আনন্দ লাগছে, আমরা খুব খুশি।
এটিভি বাংলা/ফয়সাল
Leave a Reply