আন্তর্জাতিক প্রতিবেদক:
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যা করতে সে দেশেরই কোনো নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি টেলিভিশনে প্রচারিত সাক্ষাৎকারে সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম এমন আহ্বান জানান। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে পুতিনকে হত্যার জন্য রাশিয়ার কাউকে আহ্বান জানালেন রিপাবলিকান দলের এই সিনেটর।
রক্ষণশীল ফক্স নিউজ টিভির উপস্থাপক শন হ্যানিটিকে লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, রাশিয়ার কাউকেই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যা করতে হবে। আর এভাবেই এই লোকটিকে সরিয়ে দিতে হবে।
পরে একাধিক টুইট বার্তায় একই ধরনের আহ্বানের পুনরাবৃত্তি করেছেন লিন্ডসে গ্রাহাম। একটি টুইট বার্তায় তিনি বলেন, একমাত্র যে লোকেরা এই কাজটি করতে পারে, তারা হলো রাশিয়ার জনগণ।
পুতিন সম্পর্কে বলতে গিয়ে আরেকটি টুইট বার্তায় রোমান শাসক জুলিয়াস সিজার হত্যার অন্যতম হোতা তাঁর (জুলিয়াস সিজার) ঘনিষ্ঠ বন্ধু মার্কাস ব্রুটাসের প্রসঙ্গ টানেন লিন্ডসে গ্রাহাম। তিনি বলেন, রাশিয়ায় কি একজন ব্রুটাস আছে?
রিপাবলিকান পার্টির অতি রক্ষণশীল ঘরানার নেতা হিসেবে সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম পরিচিত। তিনি ২০০২ সালে প্রথম সিনেটর নির্বাচিত হন। পরে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০২০ সালে তিনি সিনেটর পুনর্নির্বাচিত হন।
সাউথ ক্যারোলাইনা থেকে নির্বাচিত সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহামকে অতীতে বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গেছে।
সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম এখন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ। তবে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তিনি ট্রাম্পের কড়া সমালোচক ছিলেন।
এদিকে গত বুধবার (২ মার্চ) পুতিনকে ‘অপরাধী’ আখ্যা দিয়ে তার মাথার দাম ঘোষণা করেছেন রুশ এক ব্যবসায়ী। জীবিত অথবা মৃত পুতিনকে তার সামনে দেখতে চেয়ে বিজ্ঞাপন দেন তিনি।
পুতিনের মাথার দাম ঘোষণা করেছেন ১ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ কোটি ৫৯ লাখ ৭২ হাজার ৬৯০ টাকা। অ্যালেক্স কোনানিখিন নামে এই ব্যবসায়ী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুতিনের মাথার দাম ঘোষণা করে পোস্ট দেন।
তিনি ওই পোস্টে ‘ওয়ান্টেড: জীবিত বা মৃত। গণহত্যার জন্য দায়ী ভ্লাদিমির পুতিন’–এটি লিখে পুতিনের একটি ছবি যুক্ত করেন। কোনানিখিন তার এই পুরস্কার ঘোষণাকে ‘নৈতিক দায়িত্ব’ বলে মনে করেছেন।
কোনানিখিন লেখেন, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমি ওই কর্মকর্তাকে ১ লাখ মার্কিন ডলার দেবো, যারা তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করে পুতিনকে রুশ ও আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে গ্রেপ্তার করবে।
রুশ এই ব্যবসায়ী আরও লেখেন, ‘পুতিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নন, কারণ তিনি রাশিয়ায় ভবন উড়িয়ে দেওয়ার বিশেষ অভিযানের ফলে ক্ষমতায় এসেছিলেন।
তারপর অবাধ নির্বাচন বাতিল করে এবং তার বিরোধীদের হত্যা করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছিলেন’। তবে নিউজউইক বলছে, অ্যালেক্স কোনানিখিন পোস্টটি পরবর্তীতে মুছে দেন।
একই সঙ্গে পুতিনকে হত্যার জন্য ঘাতক খোঁজার কথাও অস্বীকার করেছেন।
এটিভি/শান্তনু
Leave a Reply