1. [email protected] : @nexttech :
  2. [email protected] : SM Solaiman : SM Solaiman
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৫ অপরাহ্ন

শুক্রবার বিপিএল ফাইনাল: মুখোমুখি হচ্ছে বরিশাল-কুমিল্লা

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
  • ৩৪১ Time View

খেলাধুলা প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরে ফাইনালে উঠে গেল কুমিল্লা। শুক্রবার ফাইনালে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বরিশালের মুখোমুখি হবে কুমিল্লা।

বুধবার মিরপুরে চট্টগ্রামের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের বাঁচা-মরার লড়াইয়ের ম্যাচে সুনিল নারিনের রেকর্ড গড়া ম্যাচে ৪৩ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে কুমিল্লা।

এদিন মাত্র ১৩ বলে ফিফটির রেকর্ড গড়েন নারিন। এর আগে বিপিএলে ১৬ বলে ফিফটির রেকর্ড গড়েছিলেন পাকিস্তানের তারকা ওপেনার আহমেদ শেহজাদ।

চট্টগ্রামের বিপক্ষে মাত্র ১৪৯ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং তাণ্ডব চালান নারিন। প্রথম ওভারে শরিফুলের করা শেষ তিন বলে দুই চার আর এক ছক্কায় ২০ রান আদায় করে নেন নারিন। অবশ্য ওভারের প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওপেনার লিটন দাস।

দ্বিতীয় ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজের করা ওভারে তিন ছক্কা আর এক চারে ২৩ রান আদায় করে নেন নারিন। ২ ওভার শেষে কুমিল্লার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৩ রান। নারিনের সংগ্রহ ৯ বলে ৩৬ রান।

তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে স্ট্রাইক পাননি নারিন। এই দুই ওভার খেলেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। দুই ওভারে তিনি ১৫ রান স্কোর বোর্ডে যোগ করেন।

আফিফ হোসেনের করা পঞ্চম ওভারের প্রথম তিন বলে চার, ছক্কা আর সিঙ্গেল নিয়ে ১২ বলে ৪৭ রানে পৌঁছে যান নারিন। ষষ্ঠ ওভারে পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর করা ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে ১৩ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন নারিন।

ফিফটির পরের বলে ডট দেন নারিন। ঠিক পরের বলে হাঁকান চার। চতুর্থ বলে আউট হন নারিন। তার আগে ১৬ বলে ৫টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৫৭ রান করে ফেরেন নারিন। তিনি যখন সাজঘরে ফেরেন তখন ৫.৪ ওভারে কুমিল্লার সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৭৯ রান।

এরপর ফাফ ডু প্লেসি ও মঈন আলীর ব্যাটে ভর করে অনায়াসেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা। ২৪ বলে ২২ রান করে ফেরেন ইমরুল কায়েস। মাত্র ১৩ বল মোকাবেলা করে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন মঈন আলী। ২৩ বলে ৩০ রান করেন ফাফ ডু প্লেসি।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩.৪ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩১ রান করা চট্টগ্রাম পরের ১৯ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায়।

৮ ওভারে ৫০ রানে ৫ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন অধিনায়কত্ব থেকে বিতাড়িত হওয়া মেহেদি হাসান মিরাজ। ষষ্ঠ উইকেটে আকবর আলীকে সঙ্গে নিয়ে ৪০ বলে ৬১ রানের জুটি গড়েন মিরাজ।

৫ উইকেটে ১১১ রান করা চট্টগ্রাম এরপর মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে হারায় ২ উইকেট। ২০ বলে দুই চার আর দুই ছক্কায় ৩৩ রান করে ফেরেন আকবর আলী। শূন্য রানে রানআউট হন বেনি হাওয়েল।

১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান মিরাজ। ঠিক পরের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মিরাজ। তার আগে ৩৮ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করে ফেরেন এই অলরাউন্ডার।

মিরাজ আউট হওয়ার পর তিন বলের ব্যবধানে ফেরেন পেস বোলার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। তার আগে মাত্র ৮ বলে দুই ছক্কায় ১৫ গড়া রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে ১৪৮ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

চট্টগ্রাম: ১৯.১ ওভারে ১৪৮/১০ রান (মিরাজ ৪৪, আকবর ৩৩, জাকির ২০, মৃত্যুঞ্জয় ১৫; মঈন আলী ৩/২০, শহিদুল ৩/৩৩, মোস্তাফিজ ১/১৩)।

কুমিল্লা: ১২.৫ ওভারে ১৪৯/৩ রান ( সুনিল নারিন ৫৭, মঈন আলী ৩০*, ডু প্লেসি ৩০*, ইমরুল কায়েস ২২)।

ফল: কুমিল্লা ৭ উইকেটে জয়ী।

এটিভি বাংলা/সুমন

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© 2022
কারিগরি সহায়তা: Next Tech