ইউক্রেন সীমান্তে সেনা বাড়ানোর পাশাপাশি বেলারুশের সঙ্গে ব্যাপক সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া। মহড়া চলছে কৃষ্ণ সাগরেও। এছাড়াও ক্রিমিয়া বন্দরে যুদ্ধজাহাজ জড়ো করছে দেশটি। এরমধ্যেই ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করলেন, দেশটির দক্ষিণে আজভ সাগরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় সম্পূর্ণভাবে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না রুশ সামরিক বাহিনী।
যেকোন সময় পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেছে মার্কিন প্রশাসন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে দেশটি। রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র গুলি ছুঁড়লে তা বিশ্বযুদ্ধের রূপ নেবে বলেও মন্তব্য বাইডেনের।
এ অবস্থায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বললেন, ইউক্রেন নিয়ে মস্কোর সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর সম্পর্ক সবচেয়ে বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে এবং এই পরিস্থিতি কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংকট। তবে উত্তেজনা বাড়লেও কূটনৈতিক উপায়ে এখনো সংকট সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
তবে মস্কোতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ব্রিটেনের আলোচনা, জনসনের ন্যাটো হেডকোয়ার্টার সফরসহ বার্লিন আলোচনায় কোন সমাধানে আসতে পারেননি দেশগুলোর নেতারা। সমাধান আসেনি কিয়েভের সঙ্গে মস্কোর নয়ঘণ্টার আলোচনাতেও। ইউক্রেনে হামলার আশঙ্কা আবারও অস্বীকার করেছে মস্কো। তবে দাবি পূরণ না হলে সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছে ক্রেমলিন।
এদিকে, কৃষ্ণসাগর ও আজভ সাগরে ইউক্রেনের নৌ চলাচলের পথ রাশিয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন। এরপরই উত্তেজনা আরও চরমে পৌঁছায়। আগামী সপ্তাহে ওই দুই সাগরে নৌ মহড়া করতে যাচ্ছে রাশিয়ার। এর মধ্যেই নতুন এই অভিযোগ উঠল।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা অভিযোগ করে বলেছেন, আজভ সাগর পুরোপুরি অবরুদ্ধ রাখা হয়েছে। কৃষ্ণসাগরও প্রায় পুরোপুরিভাবে ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নজিরবিহীনভাবে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে এ নৌ মহড়া চালানো হবে। আর তখন ওই দুই সাগরে নৌ চলাচল কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে।
এদিকে, ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে উত্তেজনা চলার মধ্যেই সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশ বেলারুশের সঙ্গে বড় ধরনের সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া। বেলারুশ রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র। ইউক্রেনের সঙ্গেও দেশটির দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এ সামরিক মহড়াকে ‘সহিংস ইঙ্গিত’ বলে উল্লেখ করেছে ফ্রান্স। আর ইউক্রেন বলেছে, এ মহড়া ‘মনস্তাত্ত্বিক চাপ’-এর সমতুল্য।
বেলারুশের সঙ্গে ১০ দিনের ওই সামরিক মহড়ার সংযোজন হিসেবে ইউক্রেনের দক্ষিণে অবস্থিত কৃষ্ণসাগর ও আজভ সাগরে আগামী সপ্তাহে নৌ মহড়া চালাবে রাশিয়া। এ মহড়ার অংশ হিসেবে ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য ভারী অস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হবে উল্লেখ করে উপকূলীয় এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে দেশটি। সূত্র: বিবিসি
Leave a Reply