1. [email protected] : @nexttech :
  2. [email protected] : SM Solaiman : SM Solaiman
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৮ অপরাহ্ন

মেজর সিনহা হত্যা মামলায়, ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের ফাঁসি

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২২
  • ৩৪৯ Time View

ডেস্ক রিপোর্ট:

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও এসআই লিয়াকতের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত।

এছাড়া, নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, সাগর দেব, সাক্ষী নুরুল আমীন, মোহাম্মাদ আইয়াজ ও নিজাম উদ্দিনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া, এপিবিএনের তিন সদস্যসহ ৭ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

সোমবার বিকেলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের আদালত বহুল আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ড ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। এর আগে, এই মামলার ১৫ আসামির উপস্থিতিতে আদালতে রায় পড়া শুরু হয়।

এদিকে, গেল ১২ই জানুয়ারি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় রায়ের দিন ৩১শে জানুয়ারি ধার্য করা হয়। আসামি ওসি প্রদীপের আইনজীবীর অসমাপ্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত এই রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে।

মামলার বিচারিক কার্যক্রমে ৮ দফায় গত ১লা ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮৩ জন সাক্ষির মধ্যে ৬৫ জন সাক্ষ্য দেন এবং তাদের জেরা শেষ হয়। সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা সম্পন্ন হওয়ার পর কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আসামিদের বক্তব্য গ্রহণ করেছিল আদালত। একই সাথে ৯ই জানুয়ারি রবিবার থেকে ১২ই জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য্য করেছিল আদালত।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১শে জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা দায়ের করে। পরে ওই বছর ৫ই আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।

পরে ওই বছরের ১৩ই ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে। গত ২৭শে জুন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়। এরপর গত ২৩শে আগস্ট থেকে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। যা শেষ হয় গত ১লা ডিসেম্বর। পরে গেল ৬ ও ৭ই ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় আসামিদের ৩৪২ ধারায় বক্তব্য গ্রহণ।

এ মামলার ১৫ আসামি হলেন- টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলী (৩১), টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ (৪৮), বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত (৩০), সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. লিটন মিয়া (৩০), কনস্টেবল ছাফানুর করিম (২৫), মো. কামাল হোসাইন আজাদ (২৭), মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ওসি প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা (৩০), কনস্টেবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান আলী (৪৭), কনস্টেবল মো. রাজীব হোসেন (২৩), আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (২০), স্থানীয় বাসিন্দা বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন (২২), মো. নিজাম উদ্দিন (৪৫) ও মোহাম্মদ আইয়াজ (৪৫)।

এটিভি বাংলা/আমান

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© 2022
কারিগরি সহায়তা: Next Tech