ডেস্ক রিপোর্ট:
নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য দশম দফায় দুই ধাপে কক্সবাজারের আশ্রয় শিবির থেকে ৪৮০ টি পরিবারের আরও এক হাজার ৩০০ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে নিয়ে ৩৫ টি বাস চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশে উখিয়া ছেড়েছে। রবিববার দুপুর ২ টায় ও বিকেল ৫ টায় উখিয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠ থেকে এসব বাস রওনা দেয় বলে জানান অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা নয়ন।
তিনি বলেন, দুপুরে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয় শিবির থেকে দশম দফায় প্রথম ধাপে ৭১৮ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য উখিয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠ থেকে ১৩ টি বাস চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশে রওনা দেয়। বিকেলে দ্বিতীয় ধাপে আরও ৫৮২ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে ২২টি বাস রওনা দেয়। এসব রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রাম পৌঁছানোর পর ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বহনকারি কয়েকটি গাড়ীও রওনা দেয় বলে জানান সামছু-দ্দৌজা।
চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশে রওনা দেওয়া বাসগুলোর আগে ও পিছনে পুলিশের কড়া পাহারা ছিল। অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আরও বলেন, স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে আগ্রহ প্রকাশকারী রোহিঙ্গাদের জন্য উখিয়া ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাসে একটি অস্থায়ী বুথ খোলা হয়েছে। সেখানে স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের নাম নিবন্ধন করা হচ্ছে। শুধুমাত্র স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে ইচ্ছা প্রকাশকারী নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এর আগে নয় দফায় কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছিল ১৯ হাজার ৮৪৮ জন রোহিঙ্গাকে। এবারের দশম দফায় দুই ধাপের ১ হাজার ৩০০ জনসহ স্থানান্তর করা হলে মোট ২১ হাজার ১৪৮ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে।
২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে প্রথমবারের মত রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে গত বছরের ৯ অক্টোবর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সহায়তা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার সম্মতি প্রকাশ করে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআর।
২০২০ সালে সরকার সিদ্ধান্ত নেয় এক লাখ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে। সেই বছর ডিসেম্বর মাসের আগেই ভাসানচরে সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাসস্থানসহ অবকাঠামোগত সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা নির্মাণ ও প্রস্তুতি সম্পন্ন করে।
এটিভি বাংলা/আমান
Leave a Reply