স্পোর্টস ডেস্ক:
আবারো হারের বৃত্তে, তারকায় ঠাসা মিনিস্টার ঢাকা। মাশরাফীর প্রত্যাবর্তনের দিনে তারা সিলেট সানরাইজার্সের কাছে হেরেছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।ঢাকার দেয়া ১০১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩ ওভার বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে মোসাদ্দেকের দল। ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা সিলেটের নাজমুল অপু।
মিরপুর হোম অফ ক্রিকেটে মাঠের লড়াইয়ে ৪০২ দিন পর মাফরাফী বিন মোর্ত্তজা। সিলেটের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে তার দল মিনিস্টার ঢাকা। মিরপুরের চিরাচরিত স্লো উইকেটে সিলেটের স্পিনারদের ভেলকিতে দিশেহারা ঢাকার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ। প্রথম আঘাতটা সোহাগ গাজীর। ব্যক্তিগত ৫ রানে সাজঘরে আফগান ব্যাটার শেহজাদ।
উইকেটে থিতু হতে অপরাগ তামিম, জহুরুলরা। ৩ রানে তামিমকে ফেরান সিলেট কাপ্তান মোসাদ্দেক। আর, আর সোহাগ গাজীর দ্বিতীয় শিকার জহুরুল।
এরপরই নাজমুল অপুর আঘাতে ব্যাটফুটে ঢাকা। বা-হাতি এই স্পিনার একে একে ফেরান নাঈম শেখ, আন্দ্রে রাসেল ও দলীয় সবোর্চ্চ ৩৩ করা মাহমুদউল্লাহকে। মাত্র ৬৬ রানেই সাজঘরে ঢাকার ৬ ব্যাটার।
প্রত্যাবর্তনের দিনে মাশরাফির সংগ্রহ ২, প্রথম শিকার তাসকিনের। আর, দলের শেষ ভরসা শুভাগত হোম দ্বিতীয় সবোর্চ্চ ২১ রান করে পরিনত হন নাজমুল অপুর চতুর্থ শিকারে।
শেষের দুই উইকেট তুলে নিতে সময় লাগেনি সিলেটের। তাসকিনের পেসে পরাস্ত ইসুরু উদানা ও রুবেল। মাত্র ১০০ রানেই অল আউট ঢাকা।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দেখে শুনেই শুরু করে সিলেট সানরাউজার্সের দুই ওপেনার সিমন্স ও এনামুল হক। অবশ্য তাদের বেশিদুর এগুতে দেননি মাশরাফী। ১৬ রানে ফেরেন সিমন্স।
তিনে নামা মিঠুন ইনিংস বড় করতে না পারলেও, ঢাকার বোলারদের ভালোভাবেই সামলে নেন এনামুল হক ও ইনগ্রাম। জয়ের ভিতটা তৈরি হয় তাদের ৪০ রানের জুটিতে। এনামুল হক ৪৫ রানের ইনিংস খেলে মাশরাফীর ২য় শিকারে পরিণত হলেও ২১ রানে অপরাজিত থেকে সিলেটের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন প্রোটিয়া ব্যাটার ইনগ্রাম।
এটিভি বাংলা/জামান
Leave a Reply