এর আগে, আজ শনিবার বিকেল চারটায় ক্যাম্পাসের গোলচত্বরে গায়ে কাফনের কাপড় জড়িয়ে, মাথায় বেঁধে এবং প্রতীকী কফিন কাঁধে নিয়ে মৌন মিছিল করে শতাধিক শিক্ষার্থী। মিছিলটি গোলচত্বর থেকে শুরু হয়ে প্রজন্ম একাত্তর চত্বর ঘুরে আবার গোলচত্বরে এসে শেষ হয়। সেখানে, শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে ‘বিশ্ব বেহায়া দ্যা সেকেন্ড’ নামকরণ করেন। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনকারীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করতেই এই কর্মসূচি বলে জানান তারা।
এদিকে, উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে চলমান সংকট নিয়ে শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠকে বসেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এর আগে, উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে গেল বুধবার উপাচার্যের বাস ভবনের সামনে অনশনে বসে ২৪ শিক্ষার্থী। এরইমধ্যে অনশনরত ২৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা বেশি গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিছু না খেলে বড় বিপদের আশঙ্কা করছেন তারা।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে গত ১৩ জানুয়ারি রাত থেকে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ওই হলের কয়েক’শ ছাত্রী। সেই আন্দোলনের এক পর্যায়ে জাফরিন আহমেদ পদত্যাগ করেন। এর মধ্যেই শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। নতুন দাবি যুক্ত করে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
গত ১৬ই জানুয়ারি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে আইসিটি ভবন থেকে উপাচার্যকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ওই ঘটনার পর অজ্ঞাত কয়েক’শ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। সেই মামলা প্রত্যাহার এবং উপাচার্যের পদত্যাগের নতুন এক দফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন শিক্ষার্থীরা।
এটিভি বাংলা/ ফয়সাল
Leave a Reply