ডেস্ক রিপোর্ট:
গত দুই মেয়াদের মতো এবারও সার্চ কমিটির মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
সোমবার, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে সংলাপে অংশ নেয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাষ্টপতির উপর আওয়ালী লীগের আস্থা রয়েছে। নিরপেক্ষ, শক্তিশালী ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়নের পক্ষে আওয়ামী লীগ। সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের আলোকে একটি আইন করা যেতে পারে। যদি এর আগে আইন হয়ে যায় তাহলে আইনের মাধ্যমেই হবে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা যেতে পারে।
এ সময় রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন কমশিনকে শক্তিশালীকরণ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেয়ায় ধন্যবাদ জানায় দলটি।
এর আগে, ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলসহ দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংলাপে অংশ নেয় আওয়ামী লীগ। প্রতিনিধি দলে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান।
উল্লেখ্য, ২০শে ডিসেম্বর সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু হয়। ধারাবাহিকভাবে বেশকিছু দল সংলাপে অংশ নিলেও বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, সিপিবি, জেএসডিসহ (রব) ছয়টি রাজনৈতিক দল সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আলোচনা করতে ২০শে ডিসেম্বর সংলাপ শুরু করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সেদিন সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) সংলাপে অংশ নেয়।
এরপর ধারাবাহিকভাবে বেশকিছু দল সংলাপে অংশ নেয়। তবে বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, সিপিবি, জেএসডিসহ (রব) ছয়টি রাজনৈতিক দল সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমেই ইসি গঠনে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। এর আগেই নতুন ইসি গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
এটিভি বাংলা/ আমান
Leave a Reply