ডেস্ক রিপোর্ট:
ছুটির দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে বাণিজ্য মেলা। ক্রেতা বেড়ে যাওয়ায় মুখে হাসি ফুটে উঠছে বিক্রেতাদের। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসীনতা দেখা গেছে।
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি ) পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের আনাগোনা শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলা প্রাঙ্গণে বাড়তে থাকে ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড়।
মেলায় দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিক্স অ্যান্ড বিউটিএইডস, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স পণ্য, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য সামগ্রী, সেনিটারি, খেলনা স্টেশনারি, জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য হস্তশিল্প পণ্যসহ হোম ডেকর পণ্য, ক্রোকারিজ সামগ্রী স্টল রয়েছে। তবে ক্রেতাদের উপস্থিত বেশি দেখা গেছে শীতবস্ত্র ও ক্রোকারিজের স্টলগুলোতে।
হোম টেক্সের কর্মী আকাশ বলেন, ছুটির দিনে বেচাকেনা ভালো হয়। সকাল থেকেই ক্রেতারা আসছেন। কেনাকাটা করছেন। বেশি বিক্রি করতে পেরে আমাদের ভালো লাগছে। কম্বল ও শাল বিক্রি বেশি হচ্ছে।
ব্লেজারের স্টল এশিয়া প্যাসিফিকের বিক্রয়কর্মী মোহাম্মদ রবিন বলেন, অন্যদিন সারাদিনে যত বিক্রি হয় আজকে দুপুরের আগেই তারচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে। বিকাল দিকে ক্রেতাদের চাপ বাড়ছে। বিক্রিও বাড়ছে। তবে কেনার চেয়ে দেখছে বেশি।
মেলার প্রবেশ পথেই মাইকিং করে বলা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরে মেলায় ঢুকতে। তবে দর্শনার্থীদের মধ্যে অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। মাস্ক ছাড়াই প্রচুর দর্শনার্থী মেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অনেকে মেলায় প্রবেশের সময় মাস্ক ব্যবহার করলেও মেলায় প্রবেশ করেই তা খুলে ফেলছেন। আবার অনেকের মাস্ক রয়েছে থুতনিতে। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।
মাস্ক ছাড়া মেলায় ঘুরছেন ফার্মগেট থেকে আসা মনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, মেলায় একটু আনন্দ করতে এসেছি। ঘুরতে এসে মাস্ক পরে থাকলে ভালো লাগে?
প্রথমবারের মতো পূর্বাচলের স্থায়ী ভবনে অনুষ্ঠিত বাণিজ্য মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াত সুবিধার জন্য বিআরটিসির ৩০টি বাস কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচ থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত যাতায়াত করছে। মেলা সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে।
তবে ছুটির দিনে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা হচ্ছে। এবার মেলায় প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্তবয়সীদের ৪০ আর অপ্রাপ্তবয়সীদের ২০ টাকা।
করোনার কারণে এবার মেলায় স্টল সংখ্যা অর্ধেক করা হয়েছে। বাণিজ্য মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল এবং ১৫টি ফুড কোর্ট স্টলসহ মোট ২২৫টি স্টল রয়েছে। ২০২০ সালে ৪৮৩টি ছোট-বড় স্টল ও প্যাভিলিয়ন ছিল মেলায়।
এটিভি বাংলা/আমান
Leave a Reply