ডেস্ক রিপোর্ট:
মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা প্রায় তিন মাস পর সর্বোচ্চ। এর আগে গত ১৭ই অক্টোবর ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ নিয়ে করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১২৩ জনে।
একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৫৯ জন। দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ লাখ ৪ হাজার ৬৬৪ জনে।
বৃহস্পতিবার (১৩ই জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৮৫৩টি ল্যাবরেটরিতে ২৭ হাজার ৪৮৬টি নমুনা সংগ্রহ ও ২৭ হাজার ৯২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ১৭ লাখ ৭৮ হাজার ২২১। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১২ দশমিক ০৩ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩০২ জন রোগী সুস্থ হন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৯৫৫ জন। রোগী সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৭২ শতাংশ।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১২ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব চারজন, ষাটোর্ধ্ব চারজন, সত্তরোর্ধ্ব দুইজন এবং ৯০ বছরের বেশি বয়সী একজনের মৃত্যু হয়। করোনায় মৃত এই ১২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে আটজন, চট্টগ্রামে একজন, খুলনায় একজন, বরিশালে একজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের একজন।
এদিকে বুধবার ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়। শনাক্ত হন ২ হাজার ৯১৬ জন। শনাক্তের হার ছিল ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ই মার্চ।
ওইদিন তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে প্রথম মৃত্যুর খবর জানানো হয় একই বছরের ১৮ই মার্চ। এরপর বিভিন্ন সময় করোনার সংক্রমণ কমবেশি হয়েছে।
তবে চলতি বছরের মে মাসের শেষের দিকে দেশে করোনার ডেল্টা ধরনের দাপটে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। গত আগস্টের প্রথম দিকে করোনার গণটিকা দেওয়া শুরু হয়। এরপর সংক্রমণ ও মৃত্যু উভয়ই কমতে শুরু করে।
এটিভি বাংলা/ আমান
Leave a Reply