আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ গঠন

বিনোদন ডেস্ক:

কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে সংগীতশিল্পী শফিক তুহিনের দায়ের করা তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলায় শিল্পী আসিফের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৩শে জুন দিন ঠিক করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন আসিফ।

পরে আসিফের আইনজীবী মইন ফিরোজ বলেন, আমরা খালাসের আবেদন করেছিলাম। আদালত আবেদন খারিজ করে আসিফের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে অভিযোগ গঠন করেন। আমরা এ বিষয়ে আইনি পরামর্শ শেষে আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবো।

এদিকে মামলার এজাহারে বাদী শফিক তুহিন উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালের ১লা জুন আনুমানিক রাত ৯টার দিকে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে, অনুমতি ছাড়াই তার সংগীতকর্মসহ অন্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান বিক্রি করেছেন আসিফ আকবর। পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আসিফ আকবর আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে অন মোবাইল প্রাইভেট লিমিটেড কনটেন্ট প্রোভাইডার, নেক্সনেট লিমিটেড, গাক মিডিয়া বাংলাদেশ লিমিটেড ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ট্রু-টিউন, ওয়াপ-২, রিংটোন, পিআরবিটি, ফুলট্রেক, ওয়ালপেপার, অ্যানিমেশন, থ্রি-জি কন্টেন্ট ইত্যাদি হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যবহার করে অসাধুভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।

ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শফিক তুহিন ওই বছরের ২রা জুন রাত ২টা ২২ মিনিটে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন। তার ওই পোস্টের নিচে আসিফ আকবর নিজের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অশালীন মন্তব্য করেন ও হুমকি দেন। পরদিন রাত ৯টা ৫৯ মিনিটে আসিফ আকবর তার প্রায় ৩২ লাখ লাইকসমৃদ্ধ ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। ৫৪ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড লাইভ ভিডিওর ২২ মিনিট থেকে তুহিনের বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দেন।

এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ৪ঠা জুন সন্ধ্যায় সংগীতশিল্পী ও সুরকার শফিক তুহিন তেজগাঁও থানায় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে আসিফের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর আসিফের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি ও দণ্ডবিধি আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

মামলায় আসিফ ছাড়া আরো ৪-৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছেন। মামলার পর ওই বছরের ৫ই জুন দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আসিফ আকবরকে তার অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা সিআইডির একটি দল। ওই মামলায় বর্তমানে জামিনে রয়েছেন তিনি।

এটিভি বাংলা/আমান


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *