যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে ৫০% কভিড অমিক্রনে আক্রান্ত রয়েছে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে নিউইয়র্ক ও নর্থক্যারোলিনায়। নিউইয়র্কে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৫ হাজার টেষ্ট পজেটিভ এসেছে। একদিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১১ হাজার। এত রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত ও হাসপাতালে ভর্তির এর আগে হয়নি। টেষ্টের বাইরেও প্রতিটি ঘরে বা পরিবারেই এখন আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। নিউইয়র্ক সিটিতে বসবাসরত ৯০% লোকই স্বর্দিজ্বর ও গলা ব্যাথায় ভূগছে। বিশেষ করে যেসব পরিবারে স্কুলের বাচ্চা রয়েছে তাদের পরিবারের প্রায় সবারই অসুস্থতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। নিউইয়র্কে বাংলাদেশী চিকিৎসক ডাঃ ফেরদৌস খন্দকার জানান, যেসব পরিবারের সন্তানরা স্কুলে যাচ্ছে তাদের সবাই অসুস্থ হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিদিন শতাধিক রোগীর ফোন কল পাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, থার্টি ফার্ষ্ট নাইটের আক্রমন আসবে আগামী সপ্তাহে। তাই আগামি সপ্তাহে বর্তমানের চাইতে আরো অনেক গুন বেড়ে যাবে অমিক্রন আক্রানের সংখ্যা। তাই স্কুল গুলোর খোলা রাখার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে সিদ্বান্ত নেয়া উচিত। খুব বেশি ক্রিটিক্যাল রোগীকে প্লেক্সোভিট নামক একটি ঔষধ দেয়া হচ্ছে। তবে সহসা এই ঔষধ নেয়া ঠিক হবেনা। কারন প্রতিটি ঔষধেরই একটি নিজস্ব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।
ডাঃ ফেরদৌস খন্দকার আরো বলেন, অমিক্রনে আক্রান্ত সকলের দেহেই এন্টিবডি তৈরী হচ্ছে। এটা ডেলটা বা অন্য ধরনকে মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে। কিন্তু অমিক্রন সাধারন স্বর্দি জ্বরের চেয়েও সহনশীল অসুস্থতা। তাই ভয় না পেয়ে স্বর্দিজ্বরে আক্রান্ত হলে ৫/৭ দিন ঘরে থাকুন। জ্বর বেশি হলে সাধারন প্যারাসিটামল জাতীয় ট্যাবলেট নিতে পারেন। তিনি বলেন, অনেক খারাপ কিছু থেকে ভালো কিছুর সৃষ্টি হয়। অমিক্রন তারই একটি উদাহরন। অমিক্রনে আক্রান্ত এন্টিবডি ডেলটা বা অন্য ভেরিয়েন্ট মোকাবেলায় সহায়তা করবে। তবে বয়স্ক, ডায়াবেটিস বা ক্যান্সারের রোগীদের সমস্যা হতে পারে। আগামী এক/দুই সপ্তাহ নিউইয়র্কবাসী আরো কঠিন অবস্থা মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি বলেন, অনেক প্রাইমারী চিকিৎসক আক্রান্ত হয়ে বা ভয়ে তাদের চেম্বার বন্ধ রেখেছে্ন। কিন্তু আমার চেম্বার নিয়মিত খোলা রয়েছে। যেকোন জরুরী প্রয়োজনে ফোনে বা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।
এদিকে গণহারে অমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার জন্য স্কুল খোলা রাখাকেই দায়ী করছেন অভিভাবকরা। যে পরিবারে স্কুলের বাচ্চা রয়েছে। সে পরিবারের সকলেই আক্রান্ত হচ্ছে। তাই আগামী কয়েক সপ্তাহ স্কুল সরাসরি ক্লাশ বন্ধ রাখার জন্য সিটি মেয়রের প্রতি আহবান জানিয়েছেন নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply