সিলেট ব্যুরো:
পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সিলেটের দুই উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের মধ্যে অধিকাংশ ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। ঘোষিত ফলাফলে মাত্র ৫টিতে জয়লাভ করেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। এছাড়া ১টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, ৭টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী, ২টিতে জামায়াত নেতা, ২টিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আর ভোট জালিয়াতির কারণে জকিগঞ্জের দুই ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
বুধবার (০৫ জানুয়ারি) রাতে স্ব স্ব উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তারা বেসরকারিভাবে তাদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
নির্বাচিতরা হলেন- সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউনিয়নে জামায়াত নেতা (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, বিরশ্রী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আব্দুস সাত্তার (নৌকা), মানিকপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আবু জাফর মো. রায়হান (নৌকা), খলাছড়ায় আব্দুল হক (স্বতন্ত্র), জকিগঞ্জ সদরে আওয়ামী লীগের মাওলানা আফতাব আহমদ (নৌকা), বারঠাকুরী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মহসিন মর্তুজা চৌধুরী (নৌকা), কসকনকপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলতাফ হোসেন লস্কর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে কাজলসার ইউনিয়নে ভোট জালিয়াতির অভিযোগে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এ সময় দুই রিটার্নিং কর্মকর্তাকে আটক করে পুলিশ। এছাড়া সুলতানপুর ইউনিয়নের গনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুর্বত্তরা ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। ফলে এই ইউনিয়নের ফলাফল স্থগিত রয়েছে।
কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের তমিজ উদ্দিন (নৌকা), লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের (খেজুর গাছ) প্রতীকে মাওলানা জামাল উদ্দিন, দিঘীরপাড়ে আব্দুল মোমিন চৌধুরী (স্বতন্ত্র), সাঁতবাকে আবু ত্যায়িব শামীম (স্বতন্ত্র), বড়চতুলে আব্দুল মালিক চৌধুরী (স্বতন্ত্র), কানাইঘাট সদরে আওয়ামী লীগের আফসার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (নৌকা), দক্ষিণ বানীগ্রামে মাস্টার লোকমান আহমদ (স্বতন্ত্র) ও ঝিঙাবাড়ী ইউনিয়নে জামায়াত ঘরনার মাওলানা আব্দুর রহমান (স্বতন্ত্র) এবং রাজাগঞ্জ ইউনিয়নে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের (খেজুর গাছ) প্রতীকে মাওলানা শামসুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন।
এর আগে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এসব ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলে। সকাল থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়। বিশেষ করে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো বেশি। বিচ্ছিন্ন দু-একটি ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
এটিভি বাংলা/আনন্দ ইসলাম
Leave a Reply